বাদামে থাকে পর্যাপ্ত চর্বি ও প্রোটিন এবং এর চর্বির প্রায় পুরোটাই অসম্পৃক্ত ধাচের অর্থাৎ স্বাস্থ্যকর। এতে ভিটামিন বেশি না পাওয়া গেলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম আছে। তাছাড়াও ম্যাগনেসিয়াম সহ প্রয়োজনীয় আরো কিছু খনিজ এতে রয়েছে। খাদ্য নিয়ন্ত্রণ যারা করেন, তারা ক্যালরি বেড়ে যাওয়ার ভয়ে বাদামের চর্বি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। বাদামে শর্করা সামান্যই আছে। ফলে বাদাম খেলে ওজন বাড়বে না। সেই সাথে এটি গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রেখে শরীরের জন্য ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। জেনে রাখা ভালো যেসব নারী নিয়মিত বাদাম খান, তাদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অর্ধেক কমে যায়। যারা সপ্তাহে কয়েক দিন বাদাম খান, তাদের হৃদরোগের সম্ভাবনা ৭৪ শতাংশ কমে যায়। বাদাম এত স্বাস্থ্যকর হওয়ার কারন হচ্ছে, এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন,খনিজ,আঁশ ,মনস্যাচুরেটেড ও পলিস্যাচুরেটেড চর্বি আর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রভৃতি।
তবে কাচা বাদাম ও ভাজা বাদাম এই দুটোর তুলনার কথা বলা হলে,অবশ্যই কাচা বাদাম ভালো। কেননা ভাজা বাদামে প্রচুর ফ্যাট থাকে | এতে এসিডিটি ও বাড়ে | যাদের এসিডিটির সমস্যা আছে তাদের ভাজা বাদাম এড়িয়ে চলাই ভালো। তাছাড়াও তেলে ভাজা বাদাম, মধু বা চিনি মেশানো বাদাম খেলে উপকারের পরিবর্তে অপকারই বেশি পাওয়া যাবে। এতে ওজন বাড়বে, রক্তচাপ বাড়বে। তাই ভাজা বাদাম খেতে ভালো লাগলেও দৈনিক এক মুঠোর বেশি খাওয়া উচিত নয়। পোলাও ,হালুয়া, ফিরনি, জর্দা প্রভৃতির সাথে বাদাম খেলে লাভের চেয়ে ক্ষতি হওয়ার আশংকাই বেশি।
Reviews
There are no reviews yet.