ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় কসমেটিকসে এই প্রসিদ্ধ অয়েলের ব্যবহার শুরু হয় ১৯৭০ সাল থেকে। জোজোবা অয়েলের উৎস হল জোজোবা নামক গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। বৈজ্ঞানিক নাম “Simmondsia Chinensis” এটি মূলত আমেরিকা যুক্তরাস্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া, অ্যারিজোনা ও মেক্সিকোতে জন্মে। এ গাছ এতোটাই প্রাণশক্তি সম্পন্ন যে এটি প্রচন্ড রুক্ষ প্রাকৃতিক পরিবেশেও টিকে থাকতে পারে। এই গাছে একধরনের তেলবীজ বা বাদাম উৎপন হয়, যা থেকে জোজোবা তেল সংগ্রহ করা হয়।তেলের ব্যবহার নিয়ে আমরা সবাই জানি, কিন্তু ত্বকের যত্নে তেল? ঠিকই শুনেছেন! সব ধরনের ত্বকের যত্নে দারুণ কাজ করে এই ন্যাচারাল অয়েলটি। পোরস ক্লগড না করেই স্কিনের যত্ন নিতে এর জুড়ি নেই। চলুন জোজোবা তেলের ফিচারগুলো জেনে আসি।
ময়েশ্চার এলিমেন্টযুক্ত:-
জোজোবা তেলে এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান বিদ্যমান যেটা ত্বকের স্তরে স্তরে পানি ধরে রাখতে সাহায্য করে, ত্বককে দীর্ঘসময় ধরে আর্দ্র রাখে। তাই বিভিন্ন অ্যাসেনশিয়াল অয়েলের সাথে লোশন, ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম ও অন্যান্য প্রসাধনীতে জোজোবা অয়েল ব্যবহৃত হচ্ছে।
অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রোপারটিজযুক্ত :-
জোজোবা তেলের ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক প্রতিরোধী গুণ আছে। অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণাগুণ থাকাতে এটি ব্রণের উপদ্রব থেকে মুক্তি দিতে অনেকটাই হেল্প করে। যাদের স্কিন অয়েলি ও একনে প্রন, তারাও ইউজ করতে পারেন।
মেকআপ রিমুভিং ক্যাপাবিলিটি :-
অনেকেরই হয়তো জানা নেই এটি মেকআপ রিমুভ করে ম্যাজিকের মতো। এমনকি সানস্ক্রিন থেকে শুরু করে ওয়াটার প্রুফ মাশকারা বা যত হেভি মেকআপ-ই হোক না কেন! ত্বকের রোমকূপ বন্ধ করে দেয় না, তাই হাতের কাছে অয়েল ক্লেনজার না থাকলে এই তেলটি দিয়ে কিন্তু ডাবল ক্লেনজিং করা যেতেই পারে। তবে চেষ্টা করবেন মেকআপ রিমুভিংয়ের জন্য অয়েল বেইজড ক্লেনজার ব্যবহার করতে।
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ
জোজোবা অয়েলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই রয়েছে যা ন্যাচারাল অ্যান্টি অক্সিডেন্টের ভালো একটি উৎস। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট প্রোপারটিজের জন্য এই ন্যাচারাল তেলটি ত্বকে নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকে বয়সের ছাপ, বলিরেখা, পিগমেন্টেশন কমাতে সাহায্য করে।
তৈলাক্ত ত্বকেও মানানসই
তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা অয়েলি ইনগ্রেডিয়েন্টস ব্যবহার করতে ভয় পান, পোরস ক্লগ করবে কিনা সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন। তাদের জন্য সুখবর হলো জোজোবা অয়েল ভেষজ উপাদান হওয়ায় ত্বকে উৎপাদিত সেবাম এর সাথে এর রাসায়নিক গঠনে কিছুটা মিল রয়েছে। তাই পোরস বন্ধ হয়ে ব্রেক আউটের সম্ভাবনা নেই!
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ
জোজোবা অয়েলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই রয়েছে যা ন্যাচারাল অ্যান্টি অক্সিডেন্টের ভালো একটি উৎস। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট প্রোপারটিজের জন্য এই ন্যাচারাল তেলটি ত্বকে নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকে বয়সের ছাপ, বলিরেখা, পিগমেন্টেশন কমাতে সাহায্য করে।
তৈলাক্ত ত্বকেও মানানসই
তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা অয়েলি ইনগ্রেডিয়েন্টস ব্যবহার করতে ভয় পান, পোরস ক্লগ করবে কিনা সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন। তাদের জন্য সুখবর হলো জোজোবা অয়েল ভেষজ উপাদান হওয়ায় ত্বকে উৎপাদিত সেবাম এর সাথে এর রাসায়নিক গঠনে কিছুটা মিল রয়েছে। তাই পোরস বন্ধ হয়ে ব্রেক আউটের সম্ভাবনা নেই!হাইপো অ্যালার্জিক
জোজোবা অয়েলের রাসায়নিক গঠনের জন্য এটি ত্বকের উপরিভাগে একটি মসৃণ আবরণ তৈরি করে। তাই এই তেল ব্যবহারে ত্বকে জ্বালা-পোড়া বা ইরিটেশন হয় না। আপনার স্কিন সেনসিটিভ হলেও এই তেলটি কিন্তু আপনার জন্য সেইফ।
উপকারিতা
১) অতিরিক্ত তৈলাক্তভাব কমায়
তেল আবার ফেইসের অয়েলিনেস কীভাবে কমায়? একটু অদ্ভুত লাগছে শুনতে, তাই না? কিন্তু এটি একদমই সত্যি! আগেই বলেছি জোজেবা তেলের গঠন অনেকটা ত্বক থেকে ক্ষরিত সেবামের মতো। তাই এটি যখন ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তখন ত্বক মসৃন ও হাইড্রেটেড থাকার সাথে সাথে সেবাম উৎপাদনকারী গ্রন্থিতে সিগন্যাল চলে যায়, যেন অতিরিক্ত সেবাম ক্ষরিত না হয়। এভাবে ত্বকের অয়েল লেভেল ব্যালেন্সড থাকে।
২) কোলাজেন প্রোডাকশন বাড়ায়
কোলাজেন সম্পর্কে সৌন্দর্য সচেতন ব্যক্তিরা কম বেশি জানেন। এটি একটি প্রোটিন যা ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে, ত্বক টানটানে রাখে এবং উজ্জ্বলতা ধরে রাখে। জোজোবা তেলে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট কোলাজেন প্রোডাকশন বুস্ট করে স্কিনকে হেলদি রাখতে হেল্প করে।
৩) ক্ষত সারিয়ে তোলে
ব্রণ চলে যাওয়ার পর রেখে যাওয়া ক্ষত সারিয়ে তুলতে জোজোবা তেল চমৎকার কাজ করে। রোদে পোড়াভাব কমিয়ে দাগ-ছোপ মুক্ত ত্বক ফিরিয়ে আনতে জোজোবা অয়েল কয়েক ফোঁটা ফেইসপ্যাকের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। অনেকে লোম তুলতে শেইভ করেন বা ঘরে বসেই ওয়্যাক্সিং করেন। বডির হেয়ার রিমুভিং শেষে এই তেলটি দিয়ে ম্যাসাজ করে নিলে ত্বক থাকবে কোমল।
৪) লিপবাম হিসেবে
হিলিং প্রোপারটিজ থাকায় জোজোবা অয়েল শুষ্ক ঠোঁটে ব্যবহার করতে পারেন। লিপ এক্সফোলিয়েশনের সময় লেবু, মধু, চিনির সাথে কয়েক ড্রপ জোজোবা তেল মিক্স করে নিলে ঠোঁট কোমল ও সুন্দর থাকবে। যাদের সারাবছরই ঠোঁট ফাটার সমস্যা দেখা যায়, তাদের জন্য লাইফ সেভিয়ার হতে পারে এই অয়েল।
২) কোলাজেন প্রোডাকশন বাড়ায়
কোলাজেন সম্পর্কে সৌন্দর্য সচেতন ব্যক্তিরা কম বেশি জানেন। এটি একটি প্রোটিন যা ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে, ত্বক টানটানে রাখে এবং উজ্জ্বলতা ধরে রাখে। জোজোবা তেলে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট কোলাজেন প্রোডাকশন বুস্ট করে স্কিনকে হেলদি রাখতে হেল্প করে।
৩) ক্ষত সারিয়ে তোলে
ব্রণ চলে যাওয়ার পর রেখে যাওয়া ক্ষত সারিয়ে তুলতে জোজোবা তেল চমৎকার কাজ করে। রোদে পোড়াভাব কমিয়ে দাগ-ছোপ মুক্ত ত্বক ফিরিয়ে আনতে জোজোবা অয়েল কয়েক ফোঁটা ফেইসপ্যাকের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। অনেকে লোম তুলতে শেইভ করেন বা ঘরে বসেই ওয়্যাক্সিং করেন। বডির হেয়ার রিমুভিং শেষে এই তেলটি দিয়ে ম্যাসাজ করে নিলে ত্বক থাকবে কোমল।
৪) লিপবাম হিসেবে
হিলিং প্রোপারটিজ থাকায় জোজোবা অয়েল শুষ্ক ঠোঁটে ব্যবহার করতে পারেন। লিপ এক্সফোলিয়েশনের সময় লেবু, মধু, চিনির সাথে কয়েক ড্রপ জোজোবা তেল মিক্স করে নিলে ঠোঁট কোমল ও সুন্দর থাকবে। যাদের সারাবছরই ঠোঁট ফাটার সমস্যা দেখা যায়, তাদের জন্য লাইফ সেভিয়ার হতে পারে এই অয়েল।
Reviews
There are no reviews yet.